Tuesday 13 May 2014

নায়্লা

নায়্লা কোলে একটা বালিশ নিয়ে খাটের উপর বসে আছে। চোখ থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি পরে বালিশ ভিজছে। নায়্লা কাঁদছে। ছোট্ট একটা বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগেছিল মঈনের সাথে, রাগের মাথায় নায়্লা তার স্বামী মঈনকে বলেছিল, আমি বাথরুম থেকে এসে যদি দেখি তুমি বাড়িতে আছো তাহলে আমি চলে যাব, মাইন্ড ইট। গোসল করে বের হয়ে মঈনকে খুজেছে সে দুপুরের একটা মজার ঘটনা বলবে বলে। দুপুরে পাশের ফ্ল্যাটের ভাবিটা তেলাপোকার ভয়ে দৌড়ে এসে নায়্লাকে জড়িয়ে ধরে সে কী কান্ড। কিন্তু মঈন নেই কোথাও।নায়্লা মঈনের নামবারে ফোন করে দেখতে পেল মোবাইলটি শোবার ঘরের বিছানায় রাখা। অনেক রাত হয়ে যাবার পরেও যখন মঈন ফিরছিল না তখন নায়্লা মঈনের বন্ধুবান্ধব ও তাদের দুজনেরই আত্মীয়দের ফোন দিয়ে জানতে পারলো তাদের কারো বাড়িতেই মঈন যায়্নি। তাইতো বিছানায় বসে কাঁদছে নায়্লা আর নিজেকে দোষারোপ করছে। মনে মনে আল্লাহর কাছে মঈনের যেন কোন ক্ষতি নাহয় সেই দোয়া করছে। নায়্লার নিঃশব্দের কান্না এখন আর নেই, কান্নার শব্দ সৃষ্টি হয়েছে। তাইতো খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা মঈন থাকতে পারলো না নিচে। সে নায়্লার পিছন দিক দিয়ে বের হয়ে গিয়ে দরজার সামনে দাড়াল। তারপর সেখান থেকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে দেখলো নায়্লার দিকে, মনে মনে আল্লাহ কে ধন্যবাদ দিল তার ভাগ্যে সত্যিকারের ভালোবাসে এমন স্ত্রী দেয়ার জন্য। মঈন ধীর পায়ে এগিয়ে গেল নায়্লার পাশে, তার পর নায়্লার কোলে মাথা রাখলো। নায়্লা একটু চমকে উঠল। তারপর জড়িয়ে ধরল স্বামীকে। বলল, - কোথায় গিয়েছিলে আমাকে ছেড়ে? মঈন বলল, - যাইনি কোথাও, তোমাকে ছেড়ে কি যেতে পারি? তুমি যেতে বললেও কখনও যাব না। - হুমম, মনে থাকে যেন। নায়্লার চোখের পানি মুছে দিল মঈন। বলল, - খিদা, লাগছে, খাইতে দাও বৌ। নায়্লা বলল, - ঠিকাছে, যাও হাত মুখ ধুয়ে আসো, আমি খাবার গরম করছি। খাবার টেবিলে নায়্লা বলল, - আজ একটা মজার ঘটনা ঘটেছে। শিলা ভাবি আছে না? উনি তেলাপোকা দেখে ভয়ে সে কী কান্ড। বলতেই পারলো না পুরোটা, তার আগেই হেসে গড়িয়ে পরল মঈনের গায়ে। মঈন অবাক হয়ে মেয়েটিকে দেখছে।…একটু আগেই কাঁদছিল মেয়েটি…আর এখন হাসছে।…না, কান্নায় সৌন্দর্য্য খুঁজতে চায় না মঈন, শুধু হাসির সৌন্দর্য্য দেখতে চায়। apr 8/14( www.fb.com/shadi.bd)

No comments:

Post a Comment