Tuesday 13 May 2014

২৮ শে মার্চ ২০১৪ এর সন্ধ্যা সাত টার দিকে। ....

সন্ধ্যার পর পরেই ফার্মগেটের রাস্তায় এক লোক আমাকে দেখে বলল, - আঙ্কেল আমাকে একটু সাহায্য করেন। আমি লোকটার দিকে একবার তাকিয়েই চলে আসলাম। আসতে আসতে ভাবলাম, লোকটা কি সত্যি সত্যি বিপদে পরেছে? তখন আবার গতমাসের শেষের দিকের একটি ঘটনা মনে পড়ল। চাঁদপুরের একটি পরিবার(আট দশ বছরের একটা ছেলে আর তিনজন মহিলা) বিপদে পরায় আমার এক বন্ধু তাদের একশ টাকা দিয়েছিল। পকেটে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তাদের বাড়ি ফেরার টাকার পুরোটা আমরা দিতে পারিনি। ওখানকার একজন মহিলা শুধু কথা বলেছিল, তারা নাকি রোগী দেখতে এসেছিল বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে, তাদের সাথের টাকা পয়্সা হারিয়ে গেছে। যাহোক, ওখান থেকে সরে যাবার পর চিন্তা করে বের করেছিলাম মহিলারা আসলে ভুয়া। তাই আজকেও লোকটাকে ভুয়া ভেবে চলে আসছিলাম, কিন্তু হঠাৎ মনে হলো লোকটাতো সত্যিই বিপদে পরতে পারে, তাই ফিরে গেলাম। গিয়ে লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলাম, - আপনার সমস্যা কী? লোকটি বলল, - আমার ক্ষূধা লাগছে। টাকা দিলে কিছু খাইতাম। - ও, কোথায় থাকেন আপনি? - আগে এইখানেই থাকতাম, এখন আসাদ গেইট থাকি। - ও, দুপুরে কিছু খান নাই? - না, যার সাথে থাকি সে ঘরে তালা দিয়ে কোথায় যেন গিয়েছে। - তাই বলে এভাবে রাস্তায় নামবেন? আপনার পরিচিত কেউ নাই নাকি? - না, রাস্তায় মানে। যদি ওরকম হইতাম তাহলে দেখতেনই। আমি নামাজ পড়ি পাঁচ ওয়াক্ত, কুরআন পড়ি। দেখলাম লোকটির পকেটে কটি টুপি রয়েছে। লোকটির স্বাস্থ ভাল, ভুড়ি আছে। দাড়ি ও আছে। যাহোক, আমি বললাম, - ঠিক আছে চলেন, সামনে আমার পরিচিত হোটেল আছে সেখানে আপনাকে ভাত খাওয়াব। লোকটি আমতা আমতা করে বলল, - না, যদি টাকা দিতেন তাহলে রুটি মুটি কিছু খাইতাম, রাতে খাইতাম না হলে সকালে খাইতাম। - চলেন না, আপনাকে তো ভাত খাওয়াতে চাইলাম। - না আপনি যান। - আচ্ছা থাকেন তাহলে, আমার কাছে পর্যাপ্ত টাকা নাই দেয়ার জন্য। কয়েক মিটার আসার পর লোকটি জিজ্ঞাসা করলো, - আপনি আছেন কোথায়? - ও, আমিতো পড়াশোনা করি। - ও আচ্ছা এই কলেজ(তেজগাও) - হ্যাঁ। যখনি লোকটি দেখলো ধরা খেয়েছে তখনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আর কুরআন পড়াকে ব্যবহার করলো। আহা, কতো সহজ। Mar 28/14( www.fb.com/shadi.bd)

No comments:

Post a Comment