Tuesday 13 May 2014

হাটুর নিচে বুদ্ধি যাদের ..

এই ধরনের বাক্যের সাথে আমরা অপরিচিত নই।অনেক ক্ষেত্রে আমরা হুবহু এই বাক্যটাই ব্যবহার করি।।এসব আজাইড়া অনেক কথাই আমরা বলে থাকি।কিছুদিন আগে প্রথম আলো পত্রিকায় দেখলাম আই-জিনিয়াস হয়েছে একটা মেয়ে।হাটুর নিচে বুদ্ধি নিয়া ওই মেয়েটা কিভাবে মাথায় বুদ্ধি ওয়ালাদের পরাজিত করল?আসলে আমাদের অনেক ভূল ধারণা রয়েছে।এরকম একটা কথা বলেছিলেন বেগম রোকেয়া সেটা হল, মেয়েরা কখনই স্বামী(মালিক) হয় না।পুরুষ রোজগার করলেও পুরুষ মালিক আবার নারী রোজগার করলেও পুরুষ মালিক হয়।আসলেই তাই, কিন্তু আপনি বলতে পারেন ধর্ম পুরুষ কে নারীর উপরে স্থান দিয়েছে।আমিও মানলাম দিয়েছে,কিন্তু ধর্মতো আরেকটি কথা বলেছে যে স্ত্রীর ভরন পোষণের দায়িত্ব স্বামীর।যেসব স্বামী, স্ত্রীর ভরন পোষণের দায়িত্ব নেয় না তারা কি করে মালিক হয়?আমি নিজে দেখেছি, এক মহিলা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতো আর তার স্বামীতাকে মেরে ধরে টাকা নিয়ে জুয়া খেলতো।হাটুর নিচে বুদ্ধি যে মানুষ গুলোর তারা সারাটা জীবন স্বামীর সংসারে কাজ করে।যখন কিছু দিনের জন্য বাবার বাড়ি যায় বেড়াতে সেখানেও স্বামীকে পিঠা খাওয়ানো, শশুর বাড়িতে জামাই আদর করা ইত্যাদি আরো অনেক কিছুই করতে হয়।আবার যখন স্বামীর সংসারে ফিরে আসে তখন আবার শুরু হয় তার কাজ।আপনি বলতে পারেন মেয়েদের বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি হয় তাদের নিজেদের বাড়ি।কিন্তু আমি বলব মেয়েদের কোন বাড়ি থাকে না।একটা থাকে বাবার বাড়ি আর একটা থাকে স্বামীর বাড়ি বা শশুর বাড়ি যেটা বলেন।এই কথাটা বলার কারণ হল, যখন স্বামীর সাথে স্ত্রীর ঝগড়া লাগে তখন চরম পর্যায়ে গিয়ে স্বামী স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে,তালাক দিতে চায়,বাড়ি থেকে বের করে দিতে চায়।যদি সেটা মেয়েটির নিজের বাড়ি হয় তাহলে তার স্বামী কিভাবে তাকে সেখান থেকে বের করে দিতে চায় বা দেয়?যদি লিখতে থাকি অনেক লেখা যাবে।তাই, সংক্ষেপে বলি, এই হাটুতে বুদ্ধির মানুষ গুলো আমাদের সারা জীবন সেবা দেয়।তাদের ভিতরেই রয়েছে সম্মানিত মা, আছে আদরের ছোট বোন, প্রাণাধিক প্রিয় কন্যা এবং ইহকাল পরকালের সঙ্গীনি স্ত্রী।আসুন নিজের চিন্তার পরিবর্তন ঘটাই । www.fb.com/shadi.bd

No comments:

Post a Comment